আজ পহেলা আষাঢ়, বর্ষা মৌসুমে অর্ন্তভুক্ত দুই মাসের (আষাঢ়-শ্রাবণ) প্রথম মাস এটি। ছয়ঋতুর বাংলাদেশে বর্ষা বাংলা সনের তৃতীয় মাস। বর্ষায় গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। নদীতে উপচেপড়া পানি, আকাশে থাকে ঘন মেঘের ঘনঘটা। বর্ষায় ঝরে ঝুম বৃষ্টি।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে ভাষায়, ‘এসেছে বরষা, এসেছে নবীনা বরষা/গগন ভরিয়া এসেছে ভুবন ভরসা/ দুলিছে পবনে সনসন বনবীথিকা/গীতময় তরুলতিকা।’
এই ঋতুতে বাতাসে সুবাস ছড়াবে কদম ফুল, জুঁই, কামিনি, বেলি, রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপাসহ আরও কত ফুল। পুকুরে ফুটবে রঙিন পদ্ম।
তবে ঋতু বর্ষার আগমন ঘটলেও ঢাকাসহ কয়েকটি বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের ভ্যাপসা গরম অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজধানীবাসীর।
অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম বেশি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেটে ১৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কথা বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে ঢাকায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বৃষ্টিপাতের কথা জানানো হয়েছে।