রাহাত হোসেন, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
১২ই জুন (সোমবার) বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা অতিসম্প্রতি মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২৩ নামে সে খসড়া বিধিমালা করা হয়েছে তা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী রাব্বি শেখ বলেন, মাছের রোগ নিরাময়ে নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করার জন্য অ্যাকুয়াটিক অ্যানিমেল হেলথ এর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশুনা করা প্রয়োজন যা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা পড়ে থাকে। এছাড়া, ওয়ার্ল্ড অরগানাইজেশন ফর অ্যানিমেল হেলথ- অ্যাকুয়াটিক অ্যানিমেল হেলথ কোড এর ৬.২.৭ ধারায় স্পষ্টত অ্যাকুয়াটিক অ্যানিমেল হেলথ প্রোফেশনালসরা ব্যবস্থাপত্র দিতে পারবে মর্মে বলা আছে। কিন্তু খসড়া বিধিমালায় তা সুক্ষভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।’
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ‘নতুন এই বিধিমালায় তাদের প্রতি যে বৈষম্য করা হয়েছে। ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের কল্যাণে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টর যখন অভাবনীয় সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে তখন এই সেক্টরের উন্নয়ন যাত্রা ও বর্তমান সরকারের সাফল্যকে ব্যাহত করার একটা অসাধু মহল মনগড়া বিধিমালার তৈরিতে ইন্ধন দিচ্ছে যা স্পষ্টত ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের বঞ্চনা ও অবমাননার সামিল।’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ জুয়েল রানা (১৬ ব্যাচ),নাজমুল শাকিল (১৮ ব্যাচ), আব্দুল জলিল (১৮ ব্যাচ), জিয়াউর রহমান জিয়া (১৮ ব্যাচ),মিশুক (১৮ ব্যাচ),সাগর (১৮ ব্যাচ),মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (১৯ ব্যাচ),হাসনাত সানি (২০ ব্যাচ),শঙ্কর (২১ ব্যাচ),মাহবুব (২১ ব্যাচ),মারুফ (২২ ব্যাচ)।
মানববন্ধন থেকে এই ভিত্তিহীন নীতিহীন বিধিমালা যদি দ্রুত সময়ের ভিতরে সংশোধন করা না হয় তাহলে হাবিপ্রবিসহ সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিদ একত্রিত হয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
Array