দীর্ঘদিন ধরেই মিডিয়া পাড়ায় গুঞ্জন চলছিল হয়তো শেষ অবধি বিচ্ছেদের পথেই হাঁটবেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও অভিনেতা শরীফুল রাজ। মূলত কয়েক মাস আগে বিদ্যা সিনহা মীমকে নিয়ে পরীমনি-রাজের নানা কাণ্ড গুঞ্জনের সূত্রপাত ঘটায়। তবে এবার আর সেটা গুঞ্জনে সীমাবদ্ধ থাকছে না। হয়তো বিচ্ছেদের পথকেই নিজের করে নিচ্ছেন এই তারকা দম্পতি।
গত ২৯ মে রাজের ফেসবুক থেকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের কিছু ছবি ও ভিডিও ক্লিপস ফাঁস হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় নতুন আলোচনা। প্রশ্ন ওঠে তাদের বৈবাহিক জীবনের বিচ্ছেদ নিয়ে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে রাজ-পরী বিভিন্ন মাধ্যমে নানা ধরনের বক্তব্য বা মন্তব্য করে তাদের বর্তমান সম্পর্ক সবার সামনে এনেছেন। পরীমনি জানিয়েছিলেন, রাজ অনেকদিন ধরেই তার বাসায় নেই। শুধু তাই নয়, পরী দাবি করেন কেউ তাদের সংসার ভাঙারও চেষ্টা করছেন। পরীর এমন মন্তব্যর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রাজ।
পরীমনি বলেন, ‘গত ২০ মে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে রাজ। এরপর থেকে সে বাসায়ও ফেরেনি, ফোনটাও ধরে না আর। এরপর সেলিম ভাই ও তার বউ তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিল। আসার আগে সেলিম ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, আমি রাজকে সঙ্গে করে নিয়ে তোমার বাসায় আসছি। এসে বলেন, রাজ তো তোমার সঙ্গে থাকতে চায় না। বিচ্ছেদের ব্যাপারে চিন্তা করতে পারো। আমি বললাম, ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, তাহলে ওই আমাকে ডিভোর্স দিক। আমি কেন দিতে যাবো। পরে সেলিম ভাই বললেন, যদি তোমাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাহলে বাচ্চাকে দেখভাল করতে কীভাবে কী করবে, চিন্তা-ভাবনা করে দেখো। এরপর আমি বললাম, বাচ্চা আমার কাছেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদ হওয়ার পর অবশ্যই সে বাচ্চা দেখতে আসতে পারবে। তবে শর্ত, সে অস্বাভাবিক সময় বাসায় এলে বাচ্চাকে দেখতে দেবো না। যদি রাত ৪টায় আসে, ভোরবেলায় আসে তাহলে তো বাচ্চা দেখতে দেওয়ার সুযোগই নেই। স্বাভাবিক, সঠিক সময়ে এসে সে বাচ্চা দেখতেই পারে। কোনো সমস্যা নেই।’ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে পরী আরও বলেন, ‘ও তো আমাকে ছেড়েই চলে গেছে, বিচ্ছেদের আর বাকি কী আছে? আমি আর কল্পনাতেও ভাবতে চাই না শরীফুল রাজ আমার জামাই।’ হাসতে হাসতে পরী আরও বলেন, ‘রাজ এখন বলে, আমাদের নাকি ঠিকঠিক বিয়েই হয়নি। যে এভাবে বলতে পারে সে ভয়ঙ্কর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। আমি চাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিক।’
রাজ বলেন, ‘পরীর সঙ্গে সম্পর্ক কোন পর্যায়ে বা টিকবে কি-না তা বলতে পারবেন চয়নিকা চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন সেলিম।’ তবে বিচ্ছেদ ঘটবে কি-না, সেটা পরীর ওপরই নির্ভর করবে বলেও জানান এই অভিনেতা। রাজ বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্তের চেয়ে পরীর সিদ্ধান্ত জানাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরীমণি কী চায়, সেটা জানা দরকার। পরী যেটা চাইবে, সেটাই চূড়ান্ত। থাকতে চাইলে থাকবে, না চাইলে বিচ্ছেদ।’ তাদের এমন কথায় দু’জনের মাঝে যে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা বুঝতে বাকি থাকে না কারও। সেই জায়গা থেকে অনেকেই ধারণা করছেন রাজ-পরীর বিচ্ছেদ সময়ের ব্যাপার মাত্র! এবার সেই ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছেন তারা। পরীর সাম্প্রতিক সময়ে দেওয়া বক্তব্যে তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে।
Array