নানান নাটকীয়তা ও অনিশ্চয়তার পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্নকক্ষ কংগ্রেসে পাস হয়েছে ঋণসীমা স্থগিতের বিল। এখন এটি অনুমোদনের জন্য যাবে উচ্চকক্ষ সিনেটে। এরপর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনে পরিণত হবে বিলটি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (৩১ মে) এ ভোটাভুটি হয়। ঋণসীমা স্থগিতের পক্ষে ভোট দেন ৩১৪ জন আইনপ্রণেতা। অপরদিকে এর বিপক্ষে ভোট দেন ১১৭ জন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের যে ঋণসীমা নির্ধারিত আছে সেটি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে এ বিলে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো যুক্তরাষ্ট্রের সরকারও ঋণ নিয়ে থাকে। কারণ সরকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ ট্যাক্স পায়, তার চেয়ে খরচ বেশি হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্যয় মেটানোর জন্য কত অর্থ ঋণ নিতে পারবে সেটি নির্দিষ্ট করা আছে। আর সেই নির্দিষ্ট সীমার কাছে পৌঁছে গেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। আর এ কারণে ঋণসীমা বাড়ানো বা এটি স্থগিতের কথা বলে আসছিলেন তারা।
তবে বর্তমানে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ যেহেতু রয়েছে রিপাবলিকান পার্টির দখলে, ফলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির টিকেটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া জো বাইডেন এই ঋণসীমা বাড়ানো বা স্থগিত করতে পারছিলেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন গত সপ্তাহে একটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ৫ জুনের মধ্যে ঋণসীমা বাড়ানো না হয় তাহলে তাদের কাছে খরচ করার মতো কোনো অর্থ থাকবে না। এতে করে সরকার খেলাপি হয়ে যাবে, যার অকল্পনীয় বিরূপ প্রভাব পুরো বিশ্বের ওপর পড়বে।
সূত্র: সিএনএন
Array