ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দু’জন শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতের আঁধারে কিয়েভে নতুন করে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই শিশু ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক মারা গেছে এবং এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।
রাশিয়া সম্প্রতি কিয়েভের ওপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক এসব হামলায় রাশিয়া তথাকথিত কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করছে।
বিবিসি বলছে, সর্বশেষ এই হামলা কিয়েভের পূর্বাঞ্চলীয় ডেসনিয়ানস্কি এবং ডিনিপ্রোভস্কি এলাকায় হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে নিহত ও আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এটি ছিল রাশিয়ার চতুর্থ দফা হামলা। এছাড়া গত মে মাসজুড়ে কিয়েভে ১৭ বার আক্রমণ চালায় রাশিয়া। এসব হামলার বেশিরভাগই রাতের আঁধারে চালানো হলেও অন্তত একটি হামলা দিনের আলোতে ঘটেছে।
কিয়েভের সামরিক কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত বেশ কিছু ছবিতে উদ্ধারকারীদের ঘটনাস্থলে লোকেদের সাথে দেখা করতে এবং সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে কাজ করতে দেখা যায়।
টেলিগ্রামে দেওয়া বেশ কয়েকটি পোস্টে কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, শহরে ‘দফায় দফায় বিস্ফোরণ’ ঘটেছে এবং উদ্ধারকারীরা ধ্বংসাবশেষ সরাতে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, হামলায় ১৪ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নয়জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনের গোলাবর্ষণে পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের একটি গ্রামে পাঁচজন নিহত হন বলে মস্কো-নিযুক্ত কর্মকর্তারা বুধবার বলেন। ওই হামলায় আহত হন আরও ১৯ জন।
রাশিয়া সম্প্রতি কিয়েভের ওপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক এসব হামলায় রাশিয়া তথাকথিত কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কিয়েভের দীর্ঘ-প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণের আগে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে রুশ সামরিক বাহিনী।
অবশ্য ইউক্রেন গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তবে সেই আক্রমণ শুরুর আগে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণের জন্য যতটা সম্ভব বেশি সময় নিচ্ছে ইউক্রেন।
Array