নাটোরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
এদিকে বিএনপির সরকারবিরোধী সমাবেশ চলাকালে নাটোর শহরে বিএনপি’র নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তবে পুলিশি বাধায় শহরের পিডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ছাত্রলীগ।
স্থানীয়রা জানায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে ভোর থেকেই জেলা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে সকাল পৌনে ৭টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই সময় আরও ২টি ককটেল নিক্ষেপ করলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। পরে পুলিশ গিয়ে ককটেল দুটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
শনিবার (২৭ মে) সকাল পৌনে ৭টার দিকে শহরের আলাইপুর দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, মূলত গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ দশ দফা দাবি নিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমাবেশ করেছেন তারা।
তার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু সমাবেশে বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগ। সমাবেশস্থলে আসার সময় সড়কের মোড়ে মোড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। মারধরও করা হয়েছে। তাছাড়া ইটপাটকেল ছোঁড়ার পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ।
পরিস্থিতি উতপ্ত হওয়ায় সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর বক্তব্যের আগেই সমাবেশ শেষ হয়। সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছাড়াও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে তারা বলেন, সমাবেশের নামে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে কেউ আহত হননি। তাছাড়া দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
Array