দিনাজপুর প্রতিনিধি: জাতীয় স্বর্ন পদক প্রাপ্ত, রেজি নং-১৯৫১ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সুজন রানা সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
তিনি তার লিখিত প্রতিবেদনে বলেন গত ২১ মে প্রেসক্লাবে মোঃ আরিফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন আমি নাকি তাকে মারধর করেছি এবং ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছি। উক্ত বক্তব্যের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হলো দিনাজপুর সদর উপজেলাধীন ৫৩ টি জলমহল ইজারার বিজ্ঞপ্তির আলোকে ৬৫ টি আবেদন পড়ে।
এর মধ্যে ৩৮ টি জলমহল নীতিমালা ২০০৯ এর পরিপন্থি ভাবে গত ২৩/০২/২০২৩ ইং তারিখে উপজেলা জলমহল কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। উক্ত সিদ্ধান্তের জলমহল নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। তাই ঐ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে আমরা উক্ত সভায় ২৩/০২/২০২৩ ইং তারিখের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য হাই কোর্ট ডিভিশনে একটি রীট মামলা দায়ের করেছি। যাহার মামলা নং-৪৩৬৮/২০২৩। উক্ত পিটিশনটি শুনানী কালে মহামান্য হাই কোর্ট গত ১৩/০৪/২০২৩ ইং তারিখে উপজেলা জলমহল কমিটি সিদ্ধন্তের উপর রুল জারি করেন এবং ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীগনকে জবাব দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
উক্ত কমলপুর ইউনিয়নের চুড়াহার পুকুরে আমি মামলার বাদি হওযায় উক্ত পুকুরে মহামান্য হাই কোর্টের মামলা নম্বর দিয়ে সাইন বোর্ড লাগানো হয়। সেই সাইন বোর্ড মোঃ আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা তুলে ফেলে।
এবিষয় এলাকাবাসি তার উপর ক্ষিপ্ত হলে মোঃ আরিফুল ইসলাম নিজেকে বাঁচার জন্য এবং এলাকাবাসির ভয়ে আমাদের সমিতির সদস্যদের সাথে নিজে মোটর সাইকেল চালিয়ে আমাদের কার্যালয়ে আসে এবং সভাপতির সাথে কথাবলে ও নিজের ভুল শিকার করে হাতে লিখা একটি মুচলিকা দিয়ে চলে যায়।
অথচ সংবাদ সম্মেলনে সে বলেছে আমরা নাকি তাকে তুলে এনেছি, মারধর করেছি এবং ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছি। মোঃ আরিফুল ইসলাম নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এবং প্রশাসন ও সাংবাদিক দের বিভ্রানাত মূলক তথ্য প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে আমরা এর বিচার ও শাস্তি দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ সুমন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক জনিউর রহমান জনি, আইন বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান, সদস্য ফজলে রাব্বী মুরাদ ও মোঃ জোবাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন
Array