খুলনায় সমাবেশে হামলার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা।
তিনি বলেছেন, গত ১৯ মে সমাবেশ করার জন্য আমরা চারটি স্থানের নাম উল্লেখ করে পুলিশকে অবহিতকরণ চিঠি দিয়েছিলাম। ওইদিন খুলনা প্রেসক্লাবে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কর্মীসভা ছিল। পুলিশ প্রেসক্লাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে বলেছিল। প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শুরু করলে পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা, শর্টগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় আমাদের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ১৫৪ জন নেতাকর্মী। অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর যে হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছে, এ বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি, দ্রুতই এ বিষয়ে আদালতে আমরা মামলা করব।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে মহানগরীর কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসএম শফিকুল আলম মনা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দিঘলিয়ার যুবদল নেতা সোহেল রানা গত ১৮ মে অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন। ১৯ মে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ১৯ মের মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফসার মাস্টার কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি মামলার আসামি হয়েছিলেন। এই যে পাতানো সাজানো মামলা, এই মামলাগুলো দায়ের করে সরকার আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চায়।
মনা বলেন, ১০ দফা দাবিতে আমাদের কর্মসূচি বানচাল করতে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রতিদিন নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। হামলা-মামলা ভয়ভীতি দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান বলেন, ১৯ মে বিনা উসকানিতে পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। তিনি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এখন আমরা ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছি। ১০ দফা থেকে এক দফার আন্দোলন করা হবে। শত বাধা বিঘ্ন আসুক না কেন সকল কর্মসূচি পালন করতে আমরা প্রস্তুত। খুন-গুম, হামলা-মামলা সবকিছু উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতা মোল্লা খাইরুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম নান্নু, বদরুল আনাম, সাইফুর রহমান মিন্টু, এনামুল হক সজল, আবুল কালাম জিয়া, মো. কামাল, ইমাম হোসেনসহ মহানগর ও জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Array