সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ পুনরায় এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দায়িত্বরত প্রকৌশল বিভাগ।
কেন্দ্রের প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথম ৫০ মেগাওয়াট এবং ৫ ডিসেম্বর বাকি ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি ৫০ দিন সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের পর চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু যন্ত্রাংশ সচল না হওয়ায় এখন পর্যন্ত এটি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, গত দুই সপ্তাহ বিদ্যুতের ধারাবাহিক লোডশেডিংয়ের কারণে শহর ও গ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরুল আবছার জানান, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করা হয়। মূলত এখানে ৫০ ও ১০০ মেগাওয়াট আলাদাভাবে উৎপাদন হয়। ১০০ মেগাওয়াটের ইউনিট ৫০ দিন সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের পরে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে একটি গ্যাস বুস্টার চালু না হওয়ায় আমরা আর উৎপাদনে যেতে পারিনি।
এদিকে, গত দুই সপ্তাহ বিদ্যুতের ধারাবাহিক লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
তিনি জানান, গ্যাস বুস্টারটি আমরা দেশীয় লোকলব এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে সচল করার চেষ্টা করি। আসলে এরকম সুক্ষ্ম কাজ করতে হলে বিদেশি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। গ্যাস বুস্টারটি ঠিক করার জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর নাগাদ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেশে আসবে। তখন আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করতে পারব বলে আশাবাদী।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৮৫ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদানুযায়ী সরবরাহ হচ্ছে ১৪৫ মেগাওয়াট। শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ। আর গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২। এসবের মধ্যে শহরের চাহিদা ৮০ মেগাওয়াট, পল্লী বিদ্যুত্ সমিতি-১ ও ২ এর চাহিদা ১০৫ মেগাওয়াট। তবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংকট থাকায় চাঁদপুরে চাহিদার তুলনায় মাত্র ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছে গ্রাহকরা।
Array