উপমহাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের আপন ভিটেমাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে। তিনি বছরের বেশির ভাগ সময় কাটান ছোট্ট এই শহরে। দুই ছেলে, স্ত্রী কোয়েল সিংকে নিয়ে সেখানেই তার বসবাস।
গানের পাশপাশি বর্তমানে তার একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এমনিতেই অরিজিতের জনপ্রিয়তা কারণে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ হয়ে উঠেছে অন্যতম ভ্রমণের জায়গা। শিল্পীর বাড়ি থেকে রেস্তোরাঁ দেখতে ভিড় বাড়ছে ব্লগারদের। জিয়াগঞ্জে এমনিতেই জনপ্রিয় ‘হেঁশেল’ রেস্তোরাঁ। কারণটা অবশ্য খাবারের দাম। এই রেস্তোরাঁ দেখভাল করেন গায়কের বাবা সুরেন্দ্র সিং ওরফে কাকা সিং। ব্যবসায়িক লাভের স্বার্থে নয়, বরং কর্মসংস্থান ও স্বল্পমূল্যে খাবার দেওয়াই তাদের লক্ষ্য। এখানকার খাবারের মূল্য একেবারেই সাধ্যের মধ্যে। বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা অরিজিতের হেঁশেল।
এই হোটেলে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। মাত্র ৩০ টাকায় ভেজ থালি রয়েছে তাদের জন্য। বর্তমানে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ টাকা। এছাড়াও নান থেকে বিরিয়ানি, রয়েছে মুখরোচক খাবার। মূল্য ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।
কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন অরিজিৎ। তবে জীবনযাত্রায় বিলাসিতার কোনো ছাপ নেই। শুধু যে সস্তায় খাবার খাওয়াতে হোটেল খুলেছেন তা নয়, জিয়াগঞ্জে হাসপাতাল নির্মাণ থেকে খেলায় মাঠ, ইংরেজি শিক্ষার ব্যবস্থা করার মতো নানা সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে যুক্ত রয়েছেন এই গায়ক।
শুধু অরিজিৎ নন, বহু বলিউড তারকা থেকে ক্রিকেটারের এখন কোনো না কোনো বিকল্প আয়ের উৎস রয়েছে। তবে সবার থেকে এখানেও অরিজিৎ আলাদা। তার হোটেলে খেতে গেলে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয় না। মাত্র ৩০ টাকায় পাওয়া যায় খাবার।
Array