১৬তম নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে এক বছর সময় লেগেছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)। সদ্য শেষ হওয়ার ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার টার্গেট নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সেই হিসাবে আগামী জুলাই মাসের প্রথম দিকে এ ফল প্রকাশ করা হবে। গত শুক্রবার এবং শনিবার দেশের লক্ষাধিক প্রার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান জানান, আমাদের বিধান আছে ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করার। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ চলছে। তবে নানা বাস্তবতার কারণে ৪৫ দিনে হয়ত রেজাল্ট প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় শহরের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো থেকে খাতা আসতে শুরু করেছে। এসব খাতা পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো হবে। সেগুলো দেখা শেষে ফেরত এনে ফল প্রস্তুত করা হবে। এসব কাজে কিছুটা সময় লাগবে। খাতা দেখা ও ফল প্রক্রিয়া করতে কতটুকু সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করছি, বিধি অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল আগামী জুলাই মাসে প্রকাশ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষার খাতাও পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো শুরু হয়েছে। এর আগে গত শুক্র ও শনিবার অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া লক্ষাধিক প্রার্থীর খাতা এনটিআরসিএ কার্যালয়ে জমা হতে শুরু করেছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়নের সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হয়। অনিবার্য পরিস্থিতিতে এসময় আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সুযোগ আছে। সর্বোপরি ৬০ দিনের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। বিধান অনুযায়ী ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৬০ দিন পূর্ণ হবে আগামী ৪ জুলাই।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির প্রকোপে সব কিছু বন্ধ থাকায় ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল।
এ বছর গত ৫ ও ৬ মে শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক লাখ চার হাজারের বেশি প্রার্থী। গত ৫ মে অনুষ্ঠিত স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২ এর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৫৭ হাজার ২৭৪ জন। আর ৬ মে অনুষ্ঠিত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৬০ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেও ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী এ পরীক্ষা দিয়েছেন।
Array