চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়চাপড়া গ্রামে রিয়া মনি (৩০) নামে এক নারীকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শিলনের বিরুদ্ধে। এসময় জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় বলে দাবি মেয়ের পরিবারের সদস্যদের।
নির্যাতনের শিকার রিয়া মনি চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের গড়চাপড়া গ্রামের শিলনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিলন পার্শ্ববর্তী গ্রামে তুলি খাতুন নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হতে থাকে।
রোববার (৭ মে) মুমূর্ষু অবস্থায় রিয়া মনিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রিয়া মনির বাবা বলেন, মেয়ের বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ নগদ ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। তাদের চাহিদা মোতাবেক মেয়ের সুখের কথা ভেবে সোনার গয়নাসহ আসবাবপত্রও দিয়েছি এখন জামাই একটি পালসার মোটরসাইকেল দাবি করে। আমরা গরিব মানুষ। মোটরসাইকেল দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। এ জন্য শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই আমার মেয়েকে কটুক্তিমূলক কথাবার্তা শোনাতে থাকে। এ নিয়ে মেয়ে প্রতিবাদ করলে শিলন আমার মেয়ের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক মেয়ের মুখের মধ্যে বিষ দেওয়া হয়। তারপরও নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে আমরা মেয়েকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এ বিষয়ে আমি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
রিয়া মনির মা বলেন, তাদের আড়াই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তার কথা ভেবে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছি না। আমরা চাই তারা সব কিছু ভুলে মিলেমিশে সংসার করুক।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, রিয়া মনির শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। এছাড়া তার পাকস্থলিতে বিষের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Array