পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গৃহপরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের মাসিক বেতন ছিল ১৫ হাজার টাকা। অথচ তার নামে জমি কেনা হয়েছে ৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার। বিদ্যুতের যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার নমিনি আবার অনুব্রত মণ্ডলের (কেষ্ট) মেয়ে সুকন্যা!
কালো টাকা সাদা করতে ১০-১২ বার লটারি জেতার নাটক সাজিয়েছিলেন অনুব্রত ও তার মেয়ে সুকন্যা। ভারতের আর্থিক দুর্নীতি-সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সুপ্রিম কোর্টে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এছাড়া মাঝে মাঝে অনুব্রতের গা-হাত-পা মালিশ করে দিতেন এমন ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টেও অবিশ্বাস্য লেনদেনের অঙ্ক। এছাড়া তৃণমূলের বহু নেতাকর্মীর নামে নামে-বেনামে অ্যাকাউন্ড খুলেছিলেন অনুব্রত। এসব অ্যাকাউন্টে জমা হতো গরু পাচারের ঘুষের টাকা।
ইডি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা এবং নামে-বেনামের সম্পত্তি মিলিয়ে শুধু অনুব্রতেরই ৪৮ কোটি ৬ লক্ষ টাকারও বেশি সম্পদের হদিস মিলেছে। যার পুরোটাই গরু পাচারের ঘুষের টাকায় গড়ে ওঠা। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি এনামুল হকের গরু পাচার মসৃণভাবে চালানোর ব্যবস্থা করে দিতেন। তার বিনিময়েই কোটি কোটি টাকা পেতেন তিনি।
ইডির চার্জশিট অনুযায়ী, অনুব্রতের ৪৮ কোটি ৬ লাখ টাকার সম্পত্তির মধ্যে তার, মেয়ে সুকন্যার ও বিভিন্ন সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা নগদে জমা ছিল। অনুব্রত, সুকন্যাদের মালিকানাধীন সংস্থা ভোলে বোম চালকল, শিব শম্ভু চালকল, এএনএএম অ্যাগ্রোটেক, নীড় ডেভেলপার, কালীমাতা ট্রেডার্স, মা দুর্গা ট্রেডার্সের নামে ২০.৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এই সংস্থাগুলোর মুনাফার খাতায় আছে আরও ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অনুব্রতের বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা রয়েছে।
Array