স্টাফ রিপোর্টার, শরীয়তপুর: মায়ের সঙ্গে সাংসারিক কাজকর্ম নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাগারাগি করেছিল শিলা মণ্ডল। যৌথ পরিবারের মা-চাচিদের সঙ্গে হাসিমুখে আড্ডা শেষে রাত ১১টার দিকে ঘুমিয়ে গিয়েছিল সে। সকালে ডাকাডাকি করলে সে কোনো সাড়া না দেওয়ায় দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্বজনরা।
বুধবার শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
শিলা মণ্ডল দুবাই প্রবাসী লক্ষ্মণ মণ্ডল ও মনি মালা রানীর দ্বিতীয় সন্তান। সে কনেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর শিলা সবার সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করেছে। রাত ১১টার দিকে নিজের রুমে ঘুমিয়ে ছিল। সকালে নাস্তা খাওয়ার সময় পেরিয়ে গেলেও শিলা ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন ওড়নার সঙ্গে ঝুলে রয়েছে শিলা মণ্ডলের মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
শিলা মণ্ডলের মামা শ্রী কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, যৌথ পরিবারে বড় হয়েছে শিলা। ওর মা অসুস্থ থাকায় তাকে একটু কাজে সহযোগিতা করতে বলেছিল। এতে সে রাজি না হয়ে সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটি করে রাতে আত্মহত্যা করেছে।
ডামুড্যা থানার ওসি শেখ শরিফুল আলম বলেন, রাত ১১টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে যে কোনো সময় শিলা মণ্ডল ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মা অসুস্থ, সাংসারিক কিছু কাজকর্ম তাকে করতে বলায় মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করেছিল সে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Array