ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক দূরত্ব কমিয়ে আনার পাশাপাশি বাণিজ্যের যেসব বিধিনিষেধ রয়েছে সেসব শিথিলতা আনতে হবে। যে কয়েকটি বন্দর রয়েছে সেগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে আমরা কাজ করছি। দীর্ঘমেয়াদি ভিশন নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।
মঙ্গলবার (২ মে) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার মাল্টিমোডাল সংযোগ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, সিপিডির ডিস্টিংগুয়িশড ফেলো অধ্যাপক ড মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিজেদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ বাণিজ্য করে থাকে। অথচ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ অনুপাত ৫০ শতাংশ। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া গেলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য ১৯.১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬২.৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রত্যাশিত মাত্রায় বৃদ্ধি করতে হলে স্থল বন্দর, নদী বন্দর, সমুদ্র বন্দর, কনটেইনার টার্মিনাল ইত্যাদির সক্ষমতা বাড়াতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করানোর সময় কমানো, মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের গড় গতি বৃদ্ধি এবং লজিস্টিক সেবার মান বৃদ্ধি করা গেলে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। যে পথে পরিবহন খরচ সবচেয়ে সাশ্রয়ী সেটি বিবেচনায় মিশ্র পরিবহন ব্যবস্থা বা মাল্টিমোডাল কানকটিভিটির মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি সম্ভব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এরইমধ্যে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে রয়েছে। দেশের এই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে ভারতের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে দুই দেশের সরকার ও অংশীজনদের সর্বোচ্চ তৎপরতা প্রয়োজন।
Array