মোঃ শাহাদাত হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে এবার নিবন্ধন সনদ পেতে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সুমিষ্ট আম ল্যাংড়া ও টকমিষ্ট স্বাদের আম আশ্বিনা। এটি পেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি আমের জিআই স্বীকৃতি মিলবে।
কোনো পক্ষের দাবি না থাকলে মাস দুয়েকের মধ্যে ল্যাংড়া আম ও আশ্বিনা আম জিআই স্বীকৃতি দেবে শিল্পমন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্টস, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর-ডিপিডিটি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান শনিবার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই) পাওয়ার জন্য ২০১৭ সালে প্রায় সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আবেদন করেছে এ গবেষণা কেন্দ্রটি। এসব তথ্য এরই মধ্যে জিআই জার্নালে প্রকাশ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিজাইন, পেটেন্ট ও ট্রেড মার্কস বিভাগ। কোনো প্রকার আপত্তি না থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই স্বীকৃতি মিলবে এসব পণ্যের।
মোখলেসুর রহমান বলেন, এর আগে ২০১৯ সালে ক্ষিরসাপাত আম ও ২০২২ সালে ফজলি আমে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ উভয় জেলা জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের সর্বশেষ মিটিংয়ে এই আম দুইটির জিআই স্বীকৃতির বিষয়ে জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা এগুলোর স্বীকৃতি পাবো।
কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জিআই একটি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ ট্রেডমার্ক যেমন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় পরিচিতি দেয় জিআই একটি দেশের নির্দিষ্ট পণ্যকে পরিচিতি প্রদান করে। জিআই পণ্যের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিশ্ববাজারে পণ্যটির ব্রান্ডিংয়ে যা সমমানের অন্য যেকোনো পণ্য থেকে জিআই পণ্যকে এগিয়ে রাখে।
Array