ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লুধিয়ানার একটি কারখানায় গ্যাস লিক হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই গ্যাস লিকের কারণে জ্ঞান হারান। পরবর্তীতে তাদের মৃত্যু হয়। পাঞ্জাবের লুধিয়ানার গিয়াসপুরা এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকল বাহিনীর সদস্যরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। একই সঙ্গে ন্যাশনাল ডিজেস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ৫০ জন সদস্যকেও মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।
এই ঘটনায় আরও চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর পরই সেখানে ছুটে গেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্যাস লিকের ঘটনায় পাঁচ নারী এবং ছয় পুরুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত ১১ জনের মধ্যে ১০ বছর এবং ১৩ বছর বয়সী দুই শিশুও রয়েছে।
লুধিয়ানার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বতি তিওয়ানা বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেন, অবশ্যই এটি একটি গ্যাস লিকের ঘটনা। সেখানে এনডিআরএফ-এর সদস্যরা আছেন এবং সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
তবে এটি কী ধরনের গ্যাস এবং কীভাবে গ্যাস লিক হলো সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এনডিআরএফ এ বিষয়টি তদন্ত করবে বলে নিশ্চিত করেন স্বতি তিওয়ানা।
তিনি বলেন, যেখানে গ্যাস লিক হয়েছে এটি একটি জনবহুল এলাকা। সে কারণে সাধারণ মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকেই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগওয়ান্ত মান বলেন, প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
অপরদিকে লুধিয়ানার ডেপুটি কমিশনার সুরভী মালিক বলেন, এখন পর্যন্ত ১১ জনের প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
Array