প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের অর্থ বিতরণের জন্যে দেশের সেরা মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের ওপরেই আস্থা রাখছে কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়ায় গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তাও নগদের মাধ্যমেই বিতরণ করা হচ্ছে।
রোববার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শর্ট সার্কিটের আগুনে কোটালীপাড়া পৌরসভার ঘাঘর বাজারে বেশ কিছু দোকান ভস্মীভূত হয়। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের নিজের ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রত্যেকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান পাবেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে অনুদান বিতরণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে পাওয়া বিশেষ এ দায়িত্ব সম্পর্কে নগদের হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশনস জাহিদুল ইসলাম সজল বলেন, সরকারের দিক থেকে পাওয়া ছোট-বড় সব দায়িত্ব আমরা সবসময় সুচারুভাবে সম্পন্ন করে আসছি। আমরা মনে করি, ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় ভাতা ও অনুদান বিতরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠার বড় অগ্রগতি হচ্ছে।
কোভিডের সময়ে নগদের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করে শুরু হয়। তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপবৃত্তি এবং সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী ভাতা সফলভাবে বিতরণ করেছে নগদ। আর এগুলোকেই সরকার ও নগদের ডিজিটাল লেনদেন প্রক্রিয়ার অন্যতম অর্জন বলে উল্লেখ করেন জাহিদুল ইসলাম সজল।।
ইতোমধ্যে সরকারি ভাতা ও অন্যান্য সহায়তা বিতরণের ক্ষেত্রে নগদ একটি রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। কোভিডের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ দিয়ে এ প্রক্রিয়ার শুরু হয়। এরপর একে একে দেড় কোটি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ বা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় অর্ধকোটির ওপরে বিধবা-স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী শিশু ভাতা এবং শিক্ষা উপবৃত্তি সাফল্যের সঙ্গে বিতরণ করে আসছে নগদ। তাছাড়া বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে দুস্থ মহিলাদের অনুদান বিতরণসহ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুদান বিতরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও সফলভাবে করেছে নগদ।
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা নগদে
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিবারকে সহায়তা দিয়েছে নারী মৈত্রী নামে একটি সংগঠন। তারা প্রতিটি পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান করে। বিতরণ পদ্ধতির সুবিধা এবং স্বচ্ছতার জন্যে সংগঠনটি নগদকে বেছে নেয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ শিশু একাডেমির এক অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের উপস্থিতিতে এ সহায়তা বিতরণ করা হয়।
Array