বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই। সরকারের দমন-পীড়নে জনগণের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার এখন ক্ষতবিক্ষত। তবে নির্মম কর্মকাণ্ড সংঘটিত করেও নিশিরাতের এই সরকার শেষ পর্যন্ত নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না।
খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত নাশকতার এক মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ১৩ নেতাকে কারাগারে পাঠান। একইভাবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি এবং মাগুরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৪ নেতা–কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান পৃথক আদালত।
এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এই বিবৃতি দেন। তিনি দাবি করেন, ‘অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলায় তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। নির্দোষ লোককে অপরাধী সাজিয়ে মামলা, গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ ও হয়রানি করা হচ্ছে। বিরোধী দলের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে এবং বিরোধী নেতা-কর্মীসহ সাধারণ নাগরিকদের মনে ভীতি সঞ্চার করতেই সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো দুটি পৃথক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশের সার্বিক অবস্থায় এটি সুস্পষ্ট যে কর্তৃত্ববাদী সরকার কোনোভাবেই বিরোধী দল ও বিরোধী মত সহ্য করছে না। তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মাধ্যমে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিচারকেরা আইন মোতাবেক বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারছেন না বলেই বিরোধীদলীয় নেতা–কর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমান সরকারে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতিবাদী নেতৃত্ব ধ্বংস করতেই অবৈধ সরকার মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে নেতাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। এটি বর্তমান ভয়াবহ দুঃশাসনের আরেকটি নগ্ন প্রকাশ। এসব করে আওয়ামী সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। কারণ, জনগণ কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল প্রতিহিংসামূলক মামলায় গণগ্রেপ্তার বন্ধ এবং আদালতকে দিয়ে জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ বন্ধ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আটক নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
Array