কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: আবারও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র পাড়ে বাসিন্দারা। তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে কৃষকদের আধাপাকা ধানের শত শত বিঘা ফসলি জমি। কোনো উপায় না পেয়ে কৃষকরা দিনে রাতে জমির আধাপাকা ধান কাটছেন।
বৃহস্পতিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হঠাৎ ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায় কয়েক একর জমির আধাপাকা ধানের খেত নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকে দিন ও রাতে ধান কেটে বাড়িতে নিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে এখানকার প্রায় ৫০ বিঘার মতো ফসলি জমি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার কৃষক ইয়াকুব আলী বলেন, কয়েকদিন থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার কারণে নদী ভাঙছে। গত রাতে আমার ২০ শতক জমির রোপণ করা আধাপাকা ধানসহ জমিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। তারপরেও রাতে কিছু ধান কেটে বাড়িতে নিছি। আরও অনেক ফসলি জমি হুমকির মুখে রয়েছে। যেকোনো সময় ওই জমিগুলো নদীতে বিলীন হতে পারে।
ওই এলাকার নুর আলম নামের একজন বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্র নদ খুবই ভাঙছে। ইতোমধ্যে আমাদের দুই বিঘা জমি ফসলসহ নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণে আরও বেশি ভাঙছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এখানে এখনো ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে আবারও। আমি একটি মিটিংয়ে আছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারবো।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকালের বার্তাকে বলেন, ওই এলাকায় আমাদের কাজ চলমান। একদিকে কাজ করছি, অন্যদিকে ভাঙছে। ভাঙন অনেক বেশি অংশে থাকার কারণে সব অংশে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
Array