শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক (বোনাস) লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদায়ী বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে। এছাড়াও ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২২ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে।
এর আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা। সে বছর শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে ৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। সেই হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে কোম্পানির মুনাফা কমেছে।
ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুন। ওইদিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির এজিএম সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ মে।
বোনাস শেয়ার লভ্যাংশের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসির চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে।
ব্যাংকটি তার আগের ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।
২০০৮ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২১ টাকা ৩২ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ১৯ টাকা ৪৫ পয়সা। কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ১০৪ কোটি ৬০ লাখ ৮ হাজার ১২১টি। মঙ্গলবার সর্বশেষ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা।
এদিকে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ৫৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
Array