নীলফামারীর জলঢাকায় একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে সন্দিপন ঘোষ তমাল (৩২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪এপ্রিল) বিকেলে ডোমার-জলঢাকা সড়কের সলেমানের চৌপতি নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তমাল ডোমার পৌরসভার ছোট রাউতা (সাহাপাড়া) এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা তাপস কুমার ঘোষ ও শহীদ স্মৃতি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুস্মিতা ঘোষের ছেলে। তিনি প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের গোমনাতী শাখার হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, মোটরসাইকেলটি দ্রুত বেগে চলছিল। এতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। রংপুরের কোতোয়ালি থানায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ডোমার থেকে একটি মাইক্রোবাস জলঢাকা দিকে যাচ্ছিল। একই সময় দ্রুতগতিতে ডোমার থেকে মোটরসাইকেলযোগে জলঢাকার দিকে যাচ্ছিল তমাল। এক পর্যায়ে জলঢাকা উপজেলার সলেমানের চৌপতি এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসের পেছনে ধাক্কা দিয়ে মোটরসাইকেলসহ রাস্তার পাশের একটি দোকানে ঢুকে পড়েন তিনি। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তমাল।
পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Array