কক্সবাজারে ডুবন্ত একটি ট্রলারের কোল্ড স্টোরেজ (মাছ রাখার বিশেষ স্থান) থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মোনায়েম বিল্লাহ। তবে তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি উদ্ধারকারীরা।
বঙ্গোপসাগরে ডুবে থাকা নামহীন ওই ট্রলারটি কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসার পর কোল্ড স্টোরেজ চেক করতে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাগরে অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় একটি ট্রলার ভাসতে দেখে অপর একটি মাছ ধরার ট্রলার সেটিকে টেনে নাজিরাটেক তীরে নিয়ে আসে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল জানিয়েছেন, শহরের একদল জেলে বঙ্গোপসাগরে গভীর এলাকায় ওই ফিশিং বোটটি অর্ধনিমজ্জিত দেখতে পায়। তারা ঈদের দিন (২২ এপ্রিল) ভোরের দিকে ফিশিং বোটটি টেনে নাজিরারটেক পয়েন্টে নিয়ে আসেন। সেখানে এনে বোটের ভেতরের পানি ছেঁচে গলিত বেশ কয়েকটি মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন।
স্থানীয়রা জানান, ১৫-১৬ দিন আগে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে ডাকাতি করতে গিয়ে একদল জলদস্যু জেলেদের হামলার শিকার হয়। হামলায় জলদস্যুরা মারা পড়েছিলেন বলে খবর বেরিয়েছিল। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত ওই দস্যুবাহিনীর বোটটির হদিস পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো তাদের বলেই ধারণা স্থানীয়দের।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আতিশ চাকমা বলেন, পুলিশের সহায়তায় ওই ট্রলারের কোল্ড স্টোরেজ থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের কয়েকজনের হাত-পা বাঁধা ছিল। দুটি বিচ্ছিন্ন দেহ থাকায় প্রথমে ১১ জন মনে করা হলেও পরে ১০ জনই সাব্যস্ত হয়। চেহারা গলে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলো সদর থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো জেলের নাকি জলদুস্যর। তবে মরদেহগুলো হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। ট্রলারটির নিচের দিকে ফুটো করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
Array