ঈদুল ফিতরের পরদিনই কর্মস্থলে ছুটতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। রোববার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে ফিরতি মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। আগামীকাল সোমবার ও মঙ্গলবার এই ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এদিকে যাত্রীদের অপেক্ষায় ১০টি বিলাসবহুল লঞ্চ নদী বন্দরে রাখা হয়েছে।
বাসযাত্রী শফিক বলেন, কাল সরকারি অফিস খুলবে। ওইদিন লঞ্চে বাসে খুব ভিড় বাড়বে। এজন্য একটু খারাপ লাগলেও আজকে যাচ্ছি। বাস টার্মিনালে উপচে পড়া ভিড় না হলেও সবগুলো বাস যাত্রীপূর্ণ। টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। আরেক যাত্রী ইসরাত জাহান বলেন, প্রথম কর্মদিবসেই অফিসে যোগ দিতে যাচ্ছি। টিকিট আগেই বুকিং দেওয়া ছিল।
ইলিশ পরিবহনের শ্রমিক সুমন বলেন, সকাল থেকেই কিছু লোক আসছে। আজকেও ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছি। কাল পরশু যাত্রী আর ডেকে তুলতে হবে না।
সাকুরা পরিবহনের শ্রমিক ইমরান বলেন, বিকেল থেকে যাত্রীর ভিড় বাড়বে। এখন যারা কাউন্টারে আসছেন তার অধিকাংশ মঙ্গল-বুধবারের টিকিট নিতে এসেছে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দাস বলেন, এখনও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়নি। তবে আমরা যাত্রী চাপ সামালাতে বাস প্রস্তুত রেখেছি। মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন, যাত্রাপথে করণীয় কি জানাতে বাস টার্মিনালে মাইকিং করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১০টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাত্রী বাড়লে সবগুলো লঞ্চ যাবে। অন্যথায় যতগুলো লঞ্চ যাত্রীপূর্ণ হবে ততগুলো যাবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, যাত্রীরা যেন ভোগান্তি ছাড়া ফিরতে পারেন এজন্য ট্রাফিক পুলিশ সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। এ বছর আসার পথে সড়কে ভোগান্তির শিকার হননি যাত্রীরা। বরিশাল থেকে ফেরার পথেও ভোগান্তির শিকার হবেন না বলে আশা করছি।
Array