অতিরিক্ত গরমে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বুসরা এগ্রো ফার্মে এক দিনে ৭০০ ব্রয়লার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের শমশের নগর গ্রামের মো. বাবু ইসলামের খামারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্যান্য খামারিদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খামারি বাবু আরও বলেন, এই গরমে খামারে আর মুরগি রাখবো না। যতটুকু আছে সব মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছি। এতে করে কিছু লোকসান হলেও পুঁজি হারাতে হবে না। বর্তমান বাজার হিসেবে মারা যাওয়া ৭০০ মুরগির দাম হতো প্রায় দুই লাখ টাকা। সব ঈদে বিক্রির জন্য রেখেছিলাম।
একই এলাকার খামার মালিক হাবিবুর রহমান রতন বলেন, খাদ্যের যে দাম তারপরও অনেক কষ্ট করে মুরগিগুলো পালন করেছি। আমার এলাকায় এক খামারে গরমে মুরগি মারা গেছে। গরমে এভাবে মুরগি মারা গেলে মুরগি রাখা যাবে না। লোকসান হলেও মুরগি বিক্রি করে দিতে হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে মুরগীর হিটস্ট্রোক হচ্ছে। খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কোনো কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে না। এই ধরনের আবহাওয়ায় মুরগির খামারে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে খামারের ক্ষতি হবে এটাই স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, যেসব খামার টিনসেডের সেসব খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছায়াযুক্ত স্থানে সেড করতে হবে। এছাড়া টিনের চালার উপরে চট, খড়, পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে, এতে কিছুটা ঠান্ডা থাকবে সেড।
খামারি বাবু ইসলাম বলেন, খামারে মোট এক হাজার ৬০০ মুরগি ছিল। প্রতিটি মুরগির বয়স ছিল ২৯ দিন এবং ওজন ছিল প্রায় দেড় থেকে দুই কেজি। এর মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে অতিরিক্ত গরমের কারণে ৭০০ মুরগি মারা যায়। গরম থেকে মুরগি বাঁচানোর জন্য খামারের ভেতরে পানি ও বড় ফ্যানের ব্যবস্থা ছিল, এরপরও মুরগিগুলো রক্ষা করতে পারিনি। আর কয়েকদিন থাকলেই ঈদে ভালো দামে বিক্রি করতে পারতাম।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Array