এম.মোরছালিন, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলীতে তরমুজ না দেয়ায় দুই তরমুজ চাষীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তরমুজ বিক্রির ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। এবং চাষীদের হাত পা বেধে রেখে যায়। এমনটাই জানান ভুক্তভোগী চাষীরা।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাত দুইটার দিকে তালতলীর ছোটবগী এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত তরমুজ চাষীরা হলেন মো. শামীম (৩৫) এবং আবুল বাশার (২৫)। এরা দুজনেই বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের রক্ষাচন্ডি গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, তালতলী উপজেলার ছোট বগী এলাকায় প্রায় ৩ একর জমিতে তরমুজ আবাদ করে মো. শামীমের বাবা বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের রক্ষাচন্ডি গ্রামের শাহ আলম মাদবর। এই তরমুজ খেত শামীম ও তার ভাইয়ের ছেলে আবুল বাশার দেখাশোনা করত। এবং ক্ষেতেই অস্থায়ী ঘর বানিয়ে সেখানে থাকতেন।
এরপর সোমবার (১৭ এপ্রিল) স্থানীয় কয়েকজন এসে তরমুজ চায় চাষীদের কাছে। কিন্তু তরমুজ না দেয়ায় তাদেরকে হুমকি দিয়ে চলে যায় বখাটেরা। এরপর একই দিনগত রাতে ২ টার দিকে চাষীদের বাসায় হামলা চালায় সুমন, ইমরান, আকাশ, মনিরসহ ১০-১২ জন বখাটে।
এসময় দুই চাষীকে বেধড়ক পিটিয়ে ঘরের সাথে বেঁধে রেখে এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সেহরির সময়ে স্থানীয়রা তাদের বাঁধা অবস্থায় দেখে স্বজনদের খবর দেয়। স্বজনরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তরমুজ চাষী শামীম বলেন, স্থানীয় কয়েকজন বখাটে আমাদের কাছে তরমুজ চায়। ফলন ভালো না হওয়ায় আমরা তরমুজ দিতে রাজি হইনি। তখন তারা আমাদের হুমকি দিয়ে চলে যায়। ওদিন রাতেই আমাদের পিটিয়ে বেঁধে রেখে ১ তরমুজ বিক্রির এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Array