পার্শ্ববর্তী ইউক্রেনে গত বছর হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ সেনারা ইউক্রেনে ঢুকে হামলা ও বিভিন্ন অঞ্চল দখল করার পর— দ্বিতীয়বারের মতো দেশটিতে প্রবেশ করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
ক্রেমলিনের বরাতে বার্তাসংস্থা টাস নিউজ জানিয়েছে, খেরসনে নিযুক্ত রাশিয়ার এয়ারবোর্ন সেনা কমান্ডার, দিনিপার আর্মি গ্রুপ এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুতিন।
এ সময় সামরিক কর্মকর্তারা পুতিনকে খেরসন এবং জাপোরিঝিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ অধিকৃত মারিউপোলেও প্রবেশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ওই সময় হেলিকপ্টারে করে মারিউপোলে ঢোকেন তিনি। এরপর গাড়িতে করে শহরটির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। এছাড়া সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। ওই সময়ও অনেকটা নীরবে মারিউপোল সফর করেছিলেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট দপ্তর ক্রেমলিন মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘ইউক্রেনের অধিকৃত’ খেরসন অঞ্চল সফর করেছেন। তবে ঠিক কবে কখন তিনি খেরসন গিয়েছিলেন সেই তারিখটি উল্লেখ করা হয়নি। মানে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে খেরসন গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
২০২২ সালের মে মাসে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে মারিউপোল দখল করে রাশিয়া।
এরপর থেকেই কৃষ্ণ সাগরীয় এ অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার দখলে রয়েছে। ওই সময় শহরটিতে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ইউক্রেনের আজভ ব্রিগেডের সেনারা। কিন্তু তাদের আটকে ফেলে শহরটি দখল করে রুশ বাহিনী।
এদিকে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ইউক্রেনের অধিকৃত দু’টি অঞ্চলে প্রবেশ করে পুতিন মূলত পশ্চিমাদের দেখাতে চাচ্ছেন নিজ বাহিনীর ওপর তার এখনো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং তার সেনারা অধিকৃত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা বেশ ভালোভাবে নিশ্চিত করছে।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনকে অধিগ্রহণ করে ডিক্রি জারি করেন পুতিন। এরপর থেকে এ অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার অংশ হিসেবেই দাবি করছেন রুশ কর্মকর্তারা।
Array