গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রির ইফতারি খেয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সোমবার (১৭ এপ্রিল) এক দিনের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইফতার গ্রহণের সময়ে পাঁচজন শ্রমিক নিজস্ব ব্যবস্থাপনার মূল ডাইনিংয়ের বাইরে শরবত জাতীয় পানীয় তৈরি করে পান করেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই পাঁচজন শ্রমিক অসুস্থবোধ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওয়ালটনের মেডিকেল টিম তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে কারখানার নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত পার্শ্ববর্তী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ৩ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন।
পরে আরেকজন শ্রমিক অসুস্থবোধ করলে তাকেও জরুরি ভিত্তিতে উপরোক্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার সুচিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। এই তিনজন সদস্যের আকস্মিক অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে ওয়ালটন পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। তাদের অকাল প্রয়াণ ওয়ালটন পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ তাদের বেহেস্ত নসিব করুন। ওয়ালটন সবসময়ই ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ প্রয়াত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে আছে এবং থাকবে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ উক্ত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী কমপ্লায়েন্স মেনে (ইনস্যুরেন্স, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ইত্যাদি) যথাযথ সুবিধাসহ তাদের পরিবারকে এর অতিরিক্ত আরও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
গতকাল রোববার রাতে কারখানার পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উপরোক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতরা কারখানা ও এর আশপাশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। তবে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদক্ষেপে সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
ওয়ালটন পরিবারের তিন সদস্যের আকস্মিক প্রয়াণে কর্তৃপক্ষ এক দিনের শোক দিবস ঘোষণা করেছেন। এ উপলক্ষ্যে সোমবার (১৭ এপ্রিল) কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ালটন কারখানায় নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় সূচনালগ্ন থেকেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবার সরবরাহ করে আসছে। কোম্পানির নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে যে খাবার সরবরাহ করা হয়, তা ব্যতীরেকে অন্য খাবার গ্রহণ না করার জন্য ওয়ালটনের সব সদস্যকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
ইফতার গ্রহণের সময়ে পাঁচজন শ্রমিক নিজস্ব ব্যবস্থাপনার মূল ডাইনিংয়ের বাইরে শরবত জাতীয় পানীয় তৈরি করে পান করেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই পাঁচজন শ্রমিক অসুস্থবোধ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওয়ালটনের মেডিকেল টিম তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে কারখানার নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত পার্শ্ববর্তী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ৩ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন।
Array