শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা বাজার ব্যবসায়ী তুহিন সরদার (২২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নে মডেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবক মোল্লাকান্দি গ্রামের শাহে আলম সরদারের ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, বাজার ব্যবসায়ী তুহিন সরদারের বড় খালা জিন্নাত নেছার জমিতে স্থানীয় ভূমিদস্যু লালমিয়া সরদার ও তার অনুসারীরা জোর দখল করে ঘর তুলতেছিলো। ঘর তুলতে বাধা দিলে জিন্নাত নেছাকে ভূমিদস্যুরা মারধর শুরু করে। ওই সময় তুহিন সরদারর মারধর ও জমি দখলের ভিডিও ধারন করতে গেলে লাল মিয়া সরদারের ভাই কুদ্দুস সরদার তুহিন সরদারকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। দায়ের কোপে তুহিনের মাথায় মগজ পর্যন্ত জখম হয়। এ সময় তুহিনের মাথায় রক্তক্ষরণ এবং মাথার মগজে রক্ত জমে যায়। তুহিনকে ওই দিন রাতে ‘ই ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল নিয়ে অস্ত্রপাচার করা হয়। বর্তমানে তুহিন সরদার হাসপাতালের বিছানায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে। এ সময় তুহিন সরদারেকে বাঁচাতে আসলে তার বাবা শাহে আলম সরদার ও মা খালেদা বেগমকেও কুপিয়ে জখম করে লালমিয়া সরদারের অনুসারীরা। তুহিনের বাবা, মা’ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এ ঘটনায় জিন্নাত নেছাবাদী হয়ে ১১ জনসহ আরও ৪/৫ জন আসামী করে ডামুড্যা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা অভিযোগ করেন। পরে এটা গতকাল নিয়মিত একটি মামলা হিসেবে এজাহার ভুক্ত হয়।
মামলার আসামীরা হলেন, লালমিয়া সরদার, কুদ্দুস সরদার, সোহাগ সরদার, ইদ্দিস সরদার, সালমা বেগম, মিরাজ সরদার, ফিরোজ সরদার, শাহিন সরদার উভয়ের বাড়ি চরমালগাও ভাদুরী কান্দি। এছাড়াও রয়েছে কুসুম বেগম, আজিজুল হক চৌকিদার, নজু চৌকিদার উভয়ের বাড়ি চরমালগাও বিশ্বাস কান্দি।
মামলারবাদী জিন্নাত নেছা অভিযোগ করে বলেন, মডেরহাট বাজারের সাথে লাল মিয়া সরদারের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে আদালতে মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। সেই জমিতে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে লাল মিয়া সরদাররা স্থানীয় সন্ত্রাসী ভাড়া করে জোরপূর্বক জমিতে ঘর তুলতে এসেছিলো। সেই জমিতে ঘর তুলতে বাধাদিতে আসলে তারা আমাকে মারধর করে। আমার বোনের ছেলে তুহিন সরদার সেই জমিদখল আর মারধরের ভিডিও ধারণ করতে আসলে লালমিয়া সরদারের ভাই কুদ্দুস সরদার আমার বোনের ছেলেকে দাড়ালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তখন আমার বোন ও আমার বোনের স্বামী আমাকে ও আমার বোনের ছেলেকে বাঁচতে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি প্রশাসনের কাছ থেকে।
অভিযুক্ত লাল মিয়া সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শরীফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা আসামীদের ধরার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ে আসামীদের ধরে আইনের আওতায় আনতে পারবো।
Array