বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ষষ্ঠ দিনে চলছে পুড়ে যাওয়া মালামাল ও ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। মার্কেটস্থলে সিটি কর্পোরেশনের বেশ কয়েকটি ভেকু ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করছে, পাশাপাশি রোলার দ্বারা মাটি মিশিয়ে সমান করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বঙ্গবাজার মার্কেট মালিক সমিতি টেন্ডারে ৪০ লাখ টাকায় ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করেছে। সেসবও ট্রাকের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া খুলেছে বঙ্গবাজার সংলগ্ন এনেক্সকো টাওয়ার ও বঙ্গবাজার ইসলামিয়া মার্কেট। যদিও মার্কেটে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে অন্ধকারেই লাইট জ্বালিয়ে চলছে ব্যবসায়িক সব কার্যক্রম।
কথা হয় এনেক্সকো টাওয়ারের আবীর ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী নাজমুল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, গতকাল আমরা দোকান খুলেছি। যদিও মার্কেটে এখনো বিদ্যুৎ নেই। কবে সংযোগ দেওয়া হবে সে বিষয়েও কিছু বলা হয়নি।
আরেক দোকানি মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্যবসা তো শুরু করতেই হবে, তাই দোকান খুলেছি। যদিও তেমন কোনো কাস্টমার নেই এখন। এ জায়গা পুরোপুরি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তেমন কোনো কাস্টমার আসবেন না।
ইসলামিয়া মার্কেটে প্রবেশ করতেই বিক্রয়কর্মীদের হাঁকডাক শোনা গেলো। কথা হয় ঢাকা গার্মেন্টসের বিক্রয়কর্মী আশরাফুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে তো অনেক লস হয়ে গেছে, তাই সেটা কাটিয়ে উঠতে দোকান খুলেছি। যদিও কাস্টমার এখন নেই বললেই চলে।
সাদিয়া গার্মেন্টসের সত্ত্বাধিকারী জুয়েল মাহমুদ বলেন, দোকান খুলেছি। অল্পস্বল্প বিক্রি চলছে। আশা করছি, সব ঠিক হলে ক্রেতা সমাগম বাড়বে।
মেয়র তাপসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ থেকে ব্যবসায়ীদের অস্থায়ীভাবে দোকান বসানোর কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। সেটি বাস্তবায়ন করতে সিটি কর্পোরেশন দ্রুততম সময়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী পরশু থেকেই অস্থায়ীভাবে বসবে বঙ্গবাজারে অস্থায়ী মার্কেট।
Array