লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেনসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর গতকাল রাতেই অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় বিএনপির তিন শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় গতকাল বিকেলে রামগঞ্জ পৌরসভার নন্দপুর এলাকায় এরশাদ হোসেন সড়কে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল ছাত্রলীগের ইফতারি বিতরণ কর্মসূচি ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমাদের অন্তত সাত-আটজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ জন্য মামলা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের কর্মসূচিতে হামলা চালায় ও লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় আমাদের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের নেতা-কর্মীদের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এখন আবার মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, এটা খুবই দুঃখজনক।’
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালানোর পর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষেরই অন্তত ১৫ কর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০টি মোটরসাইকেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ-ছয়টি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা সবাই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মী। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Array