• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • নতুন রাস্তায় কৃষকদের মুখে হাসি 

     বার্তা কক্ষ 
    09th Apr 2023 8:39 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    মোঃশাহাদাত হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদন হলেও ঘরে তুলতে হিমশিম খেতে হতো হাজারো কৃষককে। সারা বছর ধরে ফসল আর ফসল। ধান, গম, সরিষা সব ধরনের ফসল উৎপাদন হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো কৃষকদের। দীর্ঘদিন ধরে অসহায় হাজারো কৃষকের দাবি ছিল বিলভাতিয়া এলজিইডির পাকা রাস্তা থেকে সুরানপুর নতুন বিজিবি ক্যাম্প হয়ে বুড়িডোবা পর্যন্ত ১ হাজার মিটার রাস্তা নির্মাণের।

    কৃষকদের দাবির মুখে সরেজমিন ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম, সাথে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার।

    স্থানীয় কৃষক তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে রাস্তাটি নির্মাণের দাবি জানান। কৃষকের দাবির প্রেক্ষিতে আলোচনাসাপেক্ষে ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রামীণ রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষে হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) সোলিং প্রকল্পটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে রাস্তাটি নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এতে প্রায় ৭ হাজার বিঘার জমির ফসল ঘরে তুলতে পারার আশায় হাজারো কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

    পাঁচটিকরি গ্রামের কৃষক মো. হাবিবুর রহমানর বলেন, এখানকার গভীর নলকূপে আমি সোয়া ২ বিঘা জমি চাষাবাদ করি। এখানে প্রায় ১ হাজার মিটার রাস্তা কাঁচা থাকায় বৃষ্টিবাদলে যাতাযাত করতে কষ্ট হতো। কৃষকেরা মাঠে কাজে আসলে তাদের ব্যবহৃত বাইসাইকেলগুলো গভীর নলকূপের কাছে রেখে যেতে হতো। এখন রাস্তাটি নির্মাণ হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে কোনো অসুবিধা হবে না। তিনি বলেন, রাস্তাটিতে এখন কাজের চাপ না থাকায় মানুষ কম চলাচল করছে। তবে কাজের সময় ৩/৪ হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি হওয়াতে এখন আর কোনো কষ্ট হবে না। যাতায়াতসহ ক্ষেতের ফসল অনায়াসেই ঘরে তুলতে পারব।

    গভীর নলকূপ মালিক তিলোকী গ্রামের মো. বাশির বলেন, বিলভাতিয়ার বুড়িডোবা এলাকায় ২০১২ সালে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করে ১৬০ বিঘা বা কখনো বেশি জমিতে ধানসহ বিভিন্ন ফসলে সেচ দিই। বৃষ্টি হলে কাদাতে এ রাস্তায় চলাচল করা যেত না। রাস্তাটি হেরিং বোনবন্ড হওয়াতে হাজার হাজার কৃষকের কষ্ট কমল। তিনি বলেন, গত বছর বৃষ্টি হওয়ায় অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে ধান মাথায় করে ২৬নং গভীর নলকূপের কাছে নিয়ে যেতে হয়েছে। এতে খুব কষ্ট এবং খরচ বেশি হতো। এখন এসব কষ্ট থেকে রক্ষা পাবে হাজার হাজার কৃষক।
    একই ধরনের কথা বলেছেন কৃষি শ্রমিক মো. সাদিক, মো. রাব্বুল ও মো. আলিফ।

    দর্শনার্থী মো. জহির বলেন, ভোলাহাট উপজেলায় কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় আমরা বিলভাতিয়ায় মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে যাই। আগে মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়েছি, বৃষ্টি হলে কাদাতে বাড়ি ফেরা স্বপ্নের মতো মনে হতো। এখন রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। এদিকে ভারত সীমান্তের নিকটে হওয়ায় বিজিবি ক্যাম্প হচ্ছে। রাস্তাটি বিজিবি সদস্যদের সীমান্ত সড়ক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার বলেন, রাস্তাটি নির্মাণে কৃষকের খুব উপকার হয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কৃষকের দাবি ছিল বিলভাতিয়া রাস্তাটি নির্মণের। বর্ষার সময় কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে সমস্যায় পড়তে হতো। অনেক কৃষকের ফসল নষ্ট হতো। তাই কৃষকদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে রাস্তাটি করে দেয়া হয়। রাস্তাটি নির্মাণ করাতে কৃষকেরা তাদের ফসল নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারবেন।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ