কিছু মাস আগেও ফ্রান্সের যে চীন-নীতি ছিল, ভারত উদ্বেগের সঙ্গে খেয়াল করছে তাতে পরিবর্তন এসেছে। শুধু ফ্রান্সই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অনেক দেশই গত একমাসে চীনের দিকে চোখ দিয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট রয়েছেন বেইজিংয়ে। সম্প্রতি তিনি ব্রাসেলসে একটি বক্তৃতায় ইউরোপের ভবিষ্যৎ বাণিজ্য-দিশা তৈরি করে দিতে চেয়ে বলেছেন, চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ইউরোপের জন্য ক্ষতিকর। বরং চীনের সঙ্গে সম্পর্কে যা যা ঝুঁকি বা বিপদের দিক রয়েছে, সেগুলো কমিয়ে আনতে হবে।
গত কয়েক মাসে ইউরোপের বেশ কজন নেতা চীন সফর করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট, জার্মান চ্যান্সেলর, ইউরোপীয় কাউন্সিলের কর্মকর্তা, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী। একাধিক উদ্দেশ্যে ইউরোপের নেতারা চীন সফর করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এসব উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া ইস্যু। এছাড়া ইউরোপ যে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দের বলি হতে চায় না, সে কথাও তারা চীনকে বুঝিয়ে দিতে চায়। ইইউ এবং চীনের মধ্যে ৯০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য ও পরিষেবা চুক্তি রয়েছে।
গোটা বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত ভারত। চীন ভারতের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং সেই সঙ্গে কৌশলগতক্ষেত্রে খুব বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে ফ্রান্স তথা ইউরোপের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলে তা ভারত এবং ইউরোপের সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে।
Array