পঞ্চগড় প্রতিনিধি: সম্প্রতি পঞ্চগড়ের জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠি আসে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ও পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। চিঠির বর্ণনা আর স্বাক্ষর দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে তদন্তে নামে পুলিশ।
অবশেষে পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে যায় প্রতারক। জানা যায়, মামলায় নিজের পক্ষে বিশেষ সুবিধা পেতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের স্বাক্ষর জাল করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেয়া হয়। স্বাক্ষর জালসহ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় প্রতারক চক্রকে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ এই নাটকের মূল হোতা মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছপুকুরী এলাকায়। আটকের পর পুলিশের কাছে প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এই ব্যক্তি। এই ঘটনায় পঞ্চগড় সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করার কথা রয়েছে।
০৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চাঞ্চল্যকর এই প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরেন পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা। এ সময় তিনি তাদের তৈরিকৃত জাল স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজপত্র গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন, পুরো বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। খুব গভীরভাবে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। হাতের লেখা ও কিছু বিষয় দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তদন্তের মাধ্যমে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে তাদের প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারি। তার সাথে যারা কাজ করেছে পুরো প্রতারক চক্রকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোজাম্মেল হক জানান, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি এসএম বাদশা ও ওই সংগঠনের পঞ্চগড়ের সভাপতি আসাদসহ কয়েকজন মিলে নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে মন্ত্রী ও মূখ্য সচিবের স্বাক্ষর জাল করে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আমার স্বাক্ষরটিও তারা করে দিয়েছে। সব কাজ শেষ করে তারা আমাকে জানিয়েছে।
Array