সিসা দূষণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। দেশের প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশু সিসা দূষণের শিকার। যা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন বক্তারা।
বুধবার (৫ এপ্রিল) খুলনার বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারের অফিসে সিসা দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সিসা দূষণ প্রতিরোধে, আমরা আছি এক সাথে’। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন বিভাগ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা পিওর আর্থ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সিসা একটি বিষাক্ত ভারী ধাতু, যা সবার জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের ওপর সিসার ক্ষতিকর প্রভাব অনেক বেশি। সিসা দূষণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। বাংলাদেশের প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশু সিসা দূষণের শিকার। এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। সিসার বিষাক্ততা আমাদের যে ক্ষতি করে তার কোনো প্রতিকার নেই, তাই এ দূষণ প্রতিরোধই বাঁচার একমাত্র উপায়।
বক্তারা আরোও বলেন, সিসা দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরকে সচেতন করতে হবে। একটি সুন্দর আগামী পেতে হলে সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়া খুবই জরুরি।
স্বাগত বক্তব্যে পিওর আর্থের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মাহফুজার রহমান বলেন, খুলনাকে আমরা হেলদি সিটি হিসেবে দেখতে চাই, তাই একে সিসামুক্ত করা জরুরি। আমরা চাই কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে, একটি শিশুর রক্তেও যেন সিসা না থাকে।
অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ড. মো. মঞ্জুরুল মুর্শিদ, খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিকুল ইসলাম, বাইতুর মিরাজ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নাজমুর হাসান, এনজিও প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা।
Array