রাজশাহী প্রতিনিধি: তথ্য গোপন করে উপবৃত্তির তালিকায় নিজ কন্যার নাম অন্তর্ভুক্ত করনের অভিযোগ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনকে শোকস করার সিদ্ধান্ত গ্রহনের তিনদিন অতিবাহিত হলেও এখনও শোকজ না করায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক সচেতন মহলের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তথ্যগোপনের মাধ্যমে উপবৃত্তির তালিকায় নিজ কন্যার নাম দেওয়া প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
জানা যায়, দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন তার কন্যা বিদ্যালয়ের অধ্যয়ন না করলেও কাগজ কলমে নিয়মিত ছাত্রী দেখিয়ে তথ্য গোপনের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদানের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত তালিকা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে দ্রুততার গতিতে তদন্ত করলে অভিযোগের সত্যতা পান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহীদুল হক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ এপ্রিল নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনের কাছে এই অনিয়মের সাথে জড়িত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকারের মাধ্যমে নিজের দোষ স্বীকার করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহীদুল হক।
অভিযোগের তদন্তে প্রধান শিক্ষক হোসেনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এবং প্রধান শিক্ষক দোষ স্বীকার করেছি কার উক্তি দেয়ার পর উপজেলা বাধ্য শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক শোকজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনো শোকজ না করাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। শোকজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর শোকজ না করাই বহাল তবিয়তে রয়েছেন নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন। এখনো এ বিষয় নিয়ে ডাক্তারি কোন ব্যবস্থা না নেওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক সচেতন মহলের মাঝে তীব্র খুব অসন্তোষ এর সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহীদুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নওপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে এবং শিক্ষক সেটি স্বীকার করেছেন। বিষয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিন্তু দাপ্তরিক কিছু কাজের জন্য শোকশ লেটার পাঠানো হয়নি তবে অচিরেই শোকজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
Array