হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: উত্তর বাংলার সেরা বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় । যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাঝে শীর্ষস্থানীয়। এই রমজান মাসে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে নিজেরা আর্থিক ভাবে কিছুটা স্বচ্ছল হতে পারে আবার অসহায় গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে ।
এই ভিন্নধারার চিন্তাভাবনা থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী একটি ভ্রাম্যমাণ ইফতারের দোকান পরিচালনা করছে । ‘ইফতার ঘর’ নামের এই ভ্রাম্যমান দোকানে রমজান শুরুর আগের দিন থেকেই চলছে তাদের বিভিন্ন প্রকারের ফল সহ ইফতার সামগ্রি।
নতুন এই উদ্যোগ ইফতার ঘর প্রসঙ্গে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান জানান, “আমরা চেয়েছিলাম যে আমাদের ছোট ভাই -বোনরা যেন শুধু টিউশনির উপর নির্ভর না হয়ে পার্টটাইম নিজেরা কিছু করে। সেদিক থেকে একটি টি-স্টল করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু রমজান মাস থাকার কারনে সেটি না করে আপাতত ইফতারি ঘর নামে ইফতারি বিক্রির স্টল দিয়েছি। যেখানে ১০ জন ছেলে মেয়ে পার্টটাইম সময় দিচ্ছে। এতে করে তারা পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশনি ব্যতিত পার্টটাইম কিছু করার সুযোগ পাচ্ছে।
এই কাজে সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছেন এবং মূলধনের যোগান দিয়েছেন ২০১৪ সেশনের সুব্রত দাদা, ২০১৬ সেশনের মারুফ ও তার স্টুডেন্টস ই-কর্মাস প্লাটফরম। ধন্যবাদ দাদাকে এবং সবথেকে বেশি পরিশ্রম দিয়ে কার্যক্রমটাকে সফল করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে মাহফুজ হাসান জনী এবং আমাদের টিম মেম্বাররা।”
স্টুডেন্টস ই-কর্মাস প্লাটফরম এর অর্থায়নে ২০ জন অসহায় মানুষদের ইফতারের কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে ইফতার ঘর।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী এস এম মাহফুজ হাসান জনী জানান, “আমার অনেক আগে থেকেই বিজনেস করার ইচ্ছে ছিল।
ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও বন্ধু ও ছোট ভাই -বোনদের সহায়তায় ইফতার ঘরের মাধ্যমে ইফতার ও ফলমূলের বিজনেস শুরু করেছি। এর মাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থীর পার্টটাইম জবের ব্যবস্থা হয়েছে, যারা টিউশন খুজে কিন্তু পায় না। কোন কাজই ছোট নয়, এই ধারণা ইতিমধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে বৃহৎ পরিসরে এমন কাজ করার চিন্তা ভাবনা আছে। ইংশাআল্লাহ্ এতে করে আরও অনেক শিক্ষার্থীর পার্টটাইম বা ফুলটাইম কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারব বলে মনে করি।”
অনেক সুলভ মূল্যে পুরো রমজান জুরে চলবে ইফতার ঘরের আয়োজন। ক্যাম্পাসের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন খাবারের মান ভালো হওয়ায় সবাই অনেক আগ্রহী এবং তারাও এর ব্যাপক প্রসারে অগ্রগতি কামনা করছেন। আশা রাখি ঈদের পরে ইফতার ঘরকে নতুন রুপে আবারো ফিরে পাবে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাস।
Array