ইকুয়েডরের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগের কয়েক দিন পরেও উদ্বারকর্মীরা জীবিতদের উদ্বারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জীবিত কাউকে খুঁজে বের করার সম্ভাবনা কম হলেও উদ্ধারকারীরা রাজধানী কুইটো থেকে প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার দক্ষিণে আলাউসি শহরের কিছু অংশে কাদা, মাটি ও গাছপালার নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ হওয়া ৬৭ জনের সন্ধানে তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। দুর্যোগ এলাকাটিতে ফেব্রুয়ারি থেকে ভূমিধসের কারণে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো বলেছেন, যতদিন প্রয়োজন ততদিন উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া হবে।
দেশটির ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সচিবালয় (এসএনজিআর) জানিয়েছে, রোববার গভীর রাতে মুষলধারে বৃষ্টির পর পাহাড়ের একটি বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে। এতে প্রায় ৪৫ হাজার বাসিন্দা এবং অন্তত ১৬৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরকার ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২৪ হেক্টর এরও বেশি এলাকা জুড়ে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। কয়েক মাস ভারী বৃষ্টিপাতের পর সরকার গত সপ্তাহে দেশের ২৪টি প্রদেশের মধ্যে ১৩টিতে দুই মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রান বিতরণের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
এসএনজিআর এর তথ্য মতে, বছরের শুরু থেকে ইকুয়েডরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ইতোমধ্যেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭২টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং রোববারের ভূমিধসের আগে ৬ হাজার ৯শ’টিরও বেশি বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Array