ওসমানীনগর প্রতিনিধি: রমজান মাসকে ঘিরে সিলেটের ওসমানীনগরে জিলাপী তৈরিতে ব্যস্থ সময় পাড় করছেন কারিগররা। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার ছোট-বড় বাজার গুলোতে দেখা যায় সাড়ি সাড়ি দোকানে বড় বড় ডাবাতে আটা গোলানো, গরম তেলের তাওয়াতে কারিগর তার হাতে থাকা প্যাঁচ দেওয়া বস্তু দিয়ে জিলাপি তৈরীতে ব্যস্ত। বাদামি রং ধারণ করতেই তাওয়া থেকে নামিয়ে শিরায় কিছুক্ষণ ভিজিয়ে নিয়ে তৈরি করছে গরম গরম রসালো জিলাপি আর সেই জিলাপি নিতে দোকানের সামনে শত শত মানুষের ভীর।
রমজানের শুরু থেকে শেষ নাগাদ উপজেলার গোয়ালাবাজার,তাজপুর,দয়ামীর,কুরুয়া বাজারসহ ছোট-বড় বাজার গুলোতে জিলাপি ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও চাঙা থাকে। মঙ্গলাবার রোজার ৫ম দিনে উপজেলার তাজপুর বাজার ঘুরে দেখা যায় চুলায় বড়বড় কড়াইয়ে কারিগর তার হাতে থাকা প্যাঁচ দেওয়া বস্তু দিয়ে জিলাপি তৈরী করছেন।
জিলাপী বাদামি রং ধারণ করতেই তাওয়া থেকে নামিয়ে শিরায় কিছুক্ষণ ভিজিয়ে নিয়ে তৈরি করছে গরম গরম রসালো জিলাপি। আর সেই জিলাপী দোকানের সামনে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করছেন। বিশেষ জিলাপি এবার বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা কেজি দরে। গতবার এই জিলাপি বিক্রি করেছেন ২৫০ টাকা কেজিতে। আর সাধারণ জিলাপি এবার ১৫০ টাকা কেজি, যা গতবার ছিল ১২০ টাকা।
জিলাপি জিলাপির কারিগর বাবুল মিয়া জানান, । বিকাল থেকে ইফতারের সময় পর্যন্ত কাজ করি।কোনো কোনো দিন রাতেও জিলাপী তৈরি করতে হয়। এবার তাঁরা ১৪০ টাকা কেজি দরে জিলাপি বিক্রি করছেন। গতবার দাম রেখেছিলেন ১০০ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ী দুরুদ মিয়া বলেন, অন্যান্য জিনিসপত্রের মতো এ বছর ইফতার সামগ্রী কিনতেও বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য রোজার মাসের এই বাড়তি ব্যয় বহন করা কঠিন। শুনেছি, অন্যান্য দেশে রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম কমে। আমাদের দেশে দাম বাড়ে। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা ক্রেতারা অসহায় হয়ে পড়েছি।
জিলাপি কিনতে আসা ব্যাবসায়ী ছাদিকুর রহমান ছাদিক জানান,ইফতারিতে জিলাপি খেতে ভালো লাগে। কিন্তু সব জিনিসের সঙ্গে জিলাপির দামও বেড়েছে। এবার গত বছরের চেয়ে জিলাপির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এভাবে ইফতার সামগ্রীর প্রতিটা পদের দাম বেড়েছে।
Array