জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে পেটানোর ঘটনায় পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান এ তথ্য জানান।
তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আহমেদ গালিব, আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান অমি, দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. কাইয়ুম হাসান, একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগকর্মী তানভীরুল ইসলাম। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদলকে মারধরের অভিযোগে মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বাদলের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় বহিষ্কৃতরা। এতে বাদলের মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাইফুলের মাথায় তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার পলাশ চন্দ্র দাশ। এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহত ওই ছাত্রলীগ নেতা। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় যারা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা ছাত্রলীগ করার অধিকার রাখে না। ছাত্রলীগের মধ্যে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করা তাদের লক্ষ্য। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। মারধর ও সাম্প্রতিক ঘটনা বিবেচনায় চিহ্নিত পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া তদন্ত কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
Array