এস.এম.সোহান,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলের সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফ (১৫) ও নাফিস (১৫) হত্যার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুই সহপাঠীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন অন্যান্য সহপাঠীরা। একে অপকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন। এসময় গোটা বিদ্যালয় জুড়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানান, ঘটনার সময় কিশোর গ্যাংদের হামলায় তিনিও আহত হন।
বুধবার (২২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান শেষে তিনিসহ মারুফ ও নাফিস বাড়ি যাচ্ছিলেন তখন বিদ্যালয়ের অদূরে ব্রিজে কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে।
হামলাকারী রায়হান, নাইম, হাসিবুলসহ ৫ থেকে ৬ জন এ ঘটনার সাথে জড়িত। তারাও একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আগের দিন নবম ও দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সাথে পায়ে-পা লাগার ঘটনার জেরে এ হামলা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হামলাকারী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এমনটা হবে ভাবতেও পারিনি। আমি দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।
নিহত দুজনের একজন নাফিসের আজ বৃহস্পতিবার জন্মদিন বলে জানিয়েছে মামাতো ভাই শওকত হোসেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আজ ২৩ মার্চ আমার ছোট ভাইটার (নাফিস) জন্মদিন ছিল। এর আগের দিন ওকে মেরে ফেলা হলো। এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিদের গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।
এদিকে, বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হলে নিহত মারুফ ও নাফিসের লাশ বিকেলে এলাকায় এসে পৌঁছিয়েছে। আছর বাদ তাদের লাশ দাফনের কথা রয়েছে।
Array