‘মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে কিনতে হয় ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল অর্থ ক্রিপ্টোকারেন্সি। এরপর আর কোনো পরিশ্রম ছাড়াই আয় করা যায় ডলার। আল্টিমা ফার্ম নামের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে এই লেনদেন করা হয়। আবার কাউকে রেফারেন্স দিয়ে এর সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে অতিরিক্ত ডলার উপার্জন করা যায়।’ এসব প্রলোভন দেখিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে অনেকের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে একটি প্রতারক চক্র।
আটককৃত মো. আলাউদ্দিন ওরফে জুয়েল (৩৩) আল্টিমা ফার্ম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আজাইপুর এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে এবং আটক মো. মামুনুর রশিদ (৩৫) সদর উপজেলার পারকৃষ্ণ গোবিন্দপুর গ্রামের নাইমুল হকের ছেলে।
সেই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন-৫ (র্যাব)। বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর ১২টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মৌচাক মার্কেটের ন্যাশনাল ইলেট্রনিক্স ও জুয়েল ব্যাটারির দোকানের ভেতর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প।
র্যাবের সূত্রে জানা যায়, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে অবৈধভাবে আল্টিমা ফার্ম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করেছে এবং অতিরিক্ত অর্থের লোভ দেখিয়ে সাধারণ জনগণের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তে মোবাইল অ্যাপে এজেন্টের মাধ্যমে নগদ অর্থ দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা ও লেনদেনের তথ্য বেরিয়ে আসে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, বিভিন্ন লোভনীয় অফারের ফাঁদে ফেলে অসংখ্য সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Array