মোঃ ওমর ফারুক, স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার গরিব দুঃখী নিরন্ন মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এ লক্ষ্যে তিনি অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি সংবিধানের ১৫ (ক) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভূক্ত করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলার (বর্তমানে লক্ষ্মীপুর) চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং গৃহহীন মানুষের গৃহ নির্মাণের নির্দেশ প্রদান করেন। তাঁরই নির্দেশে শুরু হয় গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ১৯৯৭ সালের ২০ মে কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষের দুর্দশা দেখতে গিয়ে কক্সবাজার পরিদর্শন করেন এবং গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের নির্দেশ প্রদান করেন। তাঁর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে শুরু হয় আশ্রয়ণ প্রকল্প। মুজিব শতবর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায়ও মুজিব শতবর্ষে তালিকাধীন ৭৫০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ৬২৫ টি ঘরের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং তা উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এ উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে সর্বমোট ১২৫ টির মধ্যে ৮০টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে যার মধ্যে মহিশার ইউনিয়নের ২৩ নং মহিশার মৌজায় ১০টি, রামভদ্রপুর ইউনিয়নের সিংজালা মৌজায় ০৬ টি এবং সখিপুর ইউনিয়নের ৯০ নং চর সখিপুর মৌজায় ১২ টি, চরসেনসাস ইউনিয়নের চর তারাবুনিয়া মৌজায় ১৫ টি সহ মোট ৪৩ টি ঘর আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শুভ উদ্বোধন শেষে উপকারভোগীর নিকট জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হবে। চতুর্থ পর্যায়ের বাকী ৮২টি ঘর নির্মাণের জন্য খাস জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। মুজিববর্ষের ঘরের গুণগত মান বজায় রাখার লক্ষ্যে চিহ্নিত ভূমি উন্নয়ন ও মাটি ভরাট পূর্বক বাকী ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আগামী ২২ মার্চ সকাল ১০.৩০ টায় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে জমি ও গৃহ প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য জেলার মত শরীয়তপুর জেলার সকল উপজেলা যুক্ত থাকবে। উপজেলা প্রান্তে সকাল ৯.০০ টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। দেশের সকল মন্ত্রী/ প্রতিমন্ত্রী/ উপমন্ত্রী/ সংসদ সদস্যগণ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, মেয়রবৃন্দ, সকল সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ প্রত্যেকে তাঁর সংশ্লিষ্ট/ সুবিধাজনক উপজেলা প্রান্তে উপকারভোগীসহ যুক্ত থাকবেন। উপজেলা পর্যায়ে অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও উপকারভোগীদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভা ১০.০০ টা পর্যন্ত চলবে।
এরপর উপজেলা প্রান্ত গণভবনের সাথে সংযুক্ত হবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শুভ উদ্বোধন ঘোষণার পর বন্দোবস্তকৃত খাস জমির কবুলিওত দলিলের কপি, নামজারি খতিয়ান ও সনদপত্র উপকারভোগী পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্ব স্ব উপজেলা প্রান্তে সংযুক্ত থাকবেন। সম্মানিত সকল সাংবাদিকবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করছি।
Array