শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়া এবং রক্ত পরিষ্কার রাখার কাজ করে বৃক্ক। কিডনির অসুখের বড় বিভ্রান্তি হলো, এর সমস্যা ধরা পড়তে সময় নেয়। আর যখন ধরা পড়ে, তখন হয়তো অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। কেবল বড়দের ক্ষেত্রেই নয়, শিশুরাও কিডনির রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ছোটদের ক্ষেত্রে মূলত জিনগত কারণে, সংক্রমণের প্রভাবে কিংবা রোগপ্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়ায় কিডনির সমস্যা দেখা দেয়।
চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের সবচেয়ে চেনা সমস্যা হলো ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন (ইউটিআই)। এটা বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন বয়সের শিশুর হতে পারে। একদম ছোট শিশুদের অনেক সময়েই ডায়াপার থেকে সংক্রমণ হয়। মলের জায়গা থেকেও নোংরা প্রস্রাবের পথে ঢুকে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা জরুরি। অনেক সময়েই ছোটরা প্রস্রাব চেপে রাখে, সেখান থেকেও মূত্রনাতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এর আরও একটি কারণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। শিশুরা পানি কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও ইউটিআই হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনো শিশুর বছরে বারপাঁচেক করে এ সমস্যা হয় এবং তা দীর্ঘকাল চলতে থাকে, তখন কিডনির অসুখ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনির অসুখের লক্ষণ;
শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনির অসুখের লক্ষণগুলোর মধ্যে হাত, পা কিংবা মুখ ফুলে যাওয়া অন্যতম। ক্রনিক কিডনি রোগের আরও এক লক্ষণ হলো প্রস্রাবের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির অসুখের লক্ষণ। হঠাৎ শিশুর খিদে কমে যাওয়া, ক্লান্তি, দীর্ঘমেয়াদি জ্বর, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ওজন কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলেও সতর্ক হতে হবে অভিভাবককে।
শিশুদের কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে করনীয়;
শিশুদের পরিমাণ মতো পানি খাওয়াসহ দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রস্রাব করতে শেখাতে হবে। প্রস্রাব চেপে রাখার প্রবণতাও দূর করতে হবে। শিশুদের প্যাকেটজাত খাবার থেকে যতটা দূরে রাখা যায় ততই ভালো। এসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে, যা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।