জাবি সংবাদদাতা: বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হতে সহায়তা করা এবং তাদের মাঝে গঠনমূলকভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র সহ-অর্থায়নে ও ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে । ‘ফস্টারিং রেসপন্সিবিল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ টু প্রমোট ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের উদ্যোগে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।
বিতর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে বাছাইকৃত চারটি দলে মোট ১২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগ থেকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। দর্শকদের জন্যও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
দুই ধাপে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রথম ধাপে বিজয়ী দুই দলের মাধ্যে চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত পর্বের বিতর্কের বিষয় ছিলো- ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি নিয়ে আসে।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হোন মো: সাব্বির হোসেন, জাহানারা জবা এবং ফরিদা আক্তার ফারজানা।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: তারিকুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো: শিবলী নোমান।
আয়োজনের শুরুতেই ফস্টারিং রেসপন্সিবিল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ টু প্রমোট ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক আসিফ আহমেদ তন্ময় বলেন,’আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে ডিজিটাল নাগরিকশিপ শিক্ষার ধারণা বিভিন্ন সম্পর্কে সকলকে পরিচিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আর এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই আজকের বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন। আমরা মনে করি এই জ্ঞানের চর্চা থেকেই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে স্বাধীন ও গঠনমূলক উপায়ে মত প্রকাশ উদ্বুদ্ধ হবে এবং তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে সহায়তা করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘বিতর্ক প্রতিযোগিতা মনের জানালার উন্মেষ ঘটানোর জন্য উত্তম একটি মাধ্যম। এই আয়োজনে সকল বিতার্কিক এবং উপভোগকারী সকল দর্শককে সাধুবাদ জানাই এমন একটি ভালো উদ্যোগে যুক্ত হবার জন্য।’
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদে নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ।
Array