নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে প্রশ্ন করেন আপনাদের নৌকা মার্কার একজন মেয়রের কাছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা গিয়েছিলেন। তাদের বলা হলো ভাত খেতে পাস না, ফোন কিনিস কীভাবে।
এটার উত্তর আমি দেব না, আমি উত্তর দেই, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে কোথাও কেউ ভাত না খেয়ে নেই শেখ হাসিনার আমলে। ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে টাকা নেই, এত বাড়ি কোথা থেকে হলো সে প্রশ্ন কে করবে।
আমরা জানি আমরা নৌকার জন্য ভোট চেয়েছিলাম। আমি নারায়ণগঞ্জের একজন সামান্য কর্মী। আমরা বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি তার আদর্শকে চিনেছি। তুই তুকারি আল্লাহ পছন্দ করে না। আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। যাদের বলা হয়েছে চাকরি খেয়ে দেবো, আমি তাদের সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি।
বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় কানাইনগর সোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের নবীনবরণ ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পুলিশকে গালি দেন যারা তাদের পুলিশের পাহারায় থাকতে হয়। আমাদের ওসামানীয় সাম্রাজ্য বলা হয়। আমার দাদা এমপি ছিল, বাবা এমপি ছিল। আমরা তিন ভাই এমপি হয়েছি। আমরা সাম্রাজ্য কায়েম করেছি সত্যি। কারো জমি দখল করে করিনি। মানুষের মনে জায়গা করে সাম্রাজ্য গড়েছি।
আমার বাবা ফেলাফত পাননি। তিনি দুইবার এমপি ছিলেন। আমাদের জন্য এক টাকাও রেখে যাননি। ৯০০ টাকার জন্য ফরম ফিলাপ করতে পারিনি। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান বাস চালাত। বায়তুল মোকাররমের সামনে মুরগি বিক্রি করেছেন কিন্তু মাথা নত করেননি।
তিনি বলেন, আমার বাবা জমি দখল করেননি। স্বাধীনতার পর লুট করেননি। হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেননি। বাবা আমাদের জন্য টাকা রেখে যাননি। মানুষকে ভালোবাসতে শিখিয়ে গেছেন। সেটা নিয়েই বেঁচে আছি।
আমাকে বিভিন্নভাবে গালাগালি করা হয়। ৩০ বছর আগে হলে জবাব দিলে শহরে থাকতে হতো না। যারা গালাগালি করে আমার তাদের প্রতি মায়া লাগে। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করে।
শামীম ওসমান বলেন, ৯৬ সালে এমপি হওয়ার পর প্রথম আমি এ বক্তাবলী ও আলীরটেকের কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম এ আলোর নিচের অন্ধকারকে আলো বানাবো। আজ সব এলাকা থেকে লোকজন এখান দিয়েই আসে। করোনা ও ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে কিছুটা সমস্যা চলছে। আল্লাহ যদি আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে, আজ যে বক্তাবলীকে উপশহর বলা হয়েছে এ বক্তাবলী ও আলীরটেককে নারায়ণগঞ্জের চেয়ে সুন্দর শহর বানাবো।
এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Array