চিরবৈরী আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চুক্তির পর সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান বলেছেন, শিগগিরই ইরানে সৌদি আরবের বিনিয়োগ শুরু হতে পারে। বুধবার দেশটির রাজধানী রিয়াদে আর্থিক খাতের এক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক বছরের বৈরীতার পর গত শুক্রবার ইরান ও সৌদি আরব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে। চীনের মধ্যস্থতায় এই চুক্তির ফলে উভয় দেশ আগামী দুই মাসের মধ্যে দূতাবাস চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
আঞ্চলিক দুই শক্তির দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক উপসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছিল। মধ্যপ্রাচ্যে ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সংঘাতে ইন্ধন জোগাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে তাদের এই বৈরী সম্পর্ক।
আল-জাদান বলেছেন, ইরানে সৌদি বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। চুক্তির শর্তাবলির প্রতি সম্মান জানানো হলে আমরা এই বিনিয়োগে কোনও ধরনের বাধা দেখছি না।
ইরান-সৌদি আরব ও মধ্যস্থতাকারী চীনের যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেহরান ও রিয়াদ দুই মাসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন এবং দূতাবাস পুনরায় চালু করতে রাজি হয়েছে।
রিয়াদে আল-জাদান বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করার এবং দেশের জনগণের জোগানের জন্য স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। সৌদি আরব-ইরান উভয় দেশের জন্যই এটা দরকার।
তিনি বলেন, ইরানে অনেক সুযোগ রয়েছে এবং সৌদি আরবও তাদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেবে।
Array