পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে ফের ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ চেয়ারম্যান ইমরান খানের নির্বাচনী সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (১১ মার্চ) গভীর রাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
রোববার লাহোরে ইমরানের ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের সমাবেশকে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কার কারণে লাহোরে একদিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে পাঞ্জাব সরকার। রোববারের এই সমাবেশের আগে শনিবার গভীর রাতে এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া পাঞ্জাব সরকার সতর্ক করে বলেছে, পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে’ সভা-সমাবেশের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হতে পারে।
এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর পিটিআই চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার’ অনুরোধ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাদেশিক রাজধানী লাহোরে ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, কাউকে এখানে জড়ো হতে বা জনসমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
আমির বলেন, এসব ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা সত্ত্বেও ইমরান ‘হঠাৎ’ তার রাজনৈতিক সমাবেশ ঘোষণা করেছেন। এছাড়া লাহোরে ১৪৪ ধারা জারির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে পিএসএলের ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়কে উল্লেখ করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী আমির মীর উল্লেখ করেছেন, রোববার লাহোর শহরে এইচবিএল পিএসএলের একটি ম্যাচ, ম্যারাথন এবং একটি সাইকেল রেসও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেছেন, এসব ইভেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা এক মাস আগেই করা হয়েছিল। আর তাই সেগুলো সেভাবেই আয়োজন করা হবে।
যদিও পিটিআই দাবি করেছে, পিএসএলের ম্যাচটি যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তারা সমাবেশের রুট পরিবর্তন করেছে।
এর আগে গত ৮ মার্চ লাহোরে ইমরান খানের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেদিনও ১৪৪ ধারা জারি করে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ। তবে পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী বলছেন, নারী দিবস উপলক্ষে আওরাত মার্চ এবং একটি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা আগেই ঘোষণা করা হলেও পিটিআই পরে সমাবেশের কথা ঘোষণা করে।
গুরুত্বপূর্ণ এই প্রদেশ দু’টিতেই ইমরান খানের পিটিআই শাসন ক্ষমতায় ছিল। আগামী অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তানে আগাম ভোটের দাবি জোরদার করার জন্য সম্প্রতি ইমরান ওই দু’টি প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানান।
যদিও আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইমরানের উত্তরসূরি শেহবাজ শরিফের সরকার বলেছে, বছরের শেষের দিকে নির্ধারিত সময়েই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Array