নিজ হাতে তিল তিল করে গড়া মনিপুর স্কুল রক্ষায় আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবে, সে অনুযায়ী কাজ করার অঙ্গীকার করা কথা জানিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, আমরা কেউ আইনের উর্ধ্বে না।
গত ১১ মার্চ, শনিবার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অডিটোরিয়ামে উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে এ অঙ্গীকার করেন তিনি। স্কুলের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন এবং শিক্ষক জাকির হোসেনের বিষয়ে আদালতের কিছু নির্দেশনা রয়েছে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। আমরা ভালো ফল করছি এটা শুধু অধ্যক্ষের সকলের কৃতিত্ব। আজকে অধ্যক্ষের বিষয়টি নিয়ে আদালতে পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমরা কেউ আইনের উর্ধ্বে না। তাই উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন, প্রবীণ শিক্ষক জাকির হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০২০ সালে তদন্ত করে বলেছিল মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ পদে মো. ফরহাদ হোসেনের নিয়োগ অবৈধ। এরপর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আরেক তদন্তেও বেরিয়ে আসে অধ্যক্ষ পদে ফরহাদ হোসেনের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি বিধিসম্মত হয়নি। এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। কারণ, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির প্রভাবশালী একটি পক্ষ ফরহাদ হোসেনের পক্ষে।
এ অবস্থায় আদালতের নির্দেশে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক মো. জাকির হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিতে নির্দেশ দেয় মাউশি। পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে লেখা পত্রে তিন কর্মদিবসের মধ্যে এই ব্যবস্থা নিতে বলেছিল মাউশি। তবে পরিচালনা কমিটি এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর ৬ মার্চ দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির মূল বালিকা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান জাকির হোসেন। তখন একদল শিক্ষক তাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে গিয়ে আসনে বসান। পরে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের শিক্ষকেরা এসে তাকে অভিনন্দন জানান। এ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ওই দিন ক্যাম্পাসে পুলিশও আসে।
Array