মোহাম্মদ মিলন আকতার, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: অদৃশ্য কারণে তিন যুগেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্প নগরী। রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ নানান সুযোগ-সুবিধার অভাবে সেখানে গড়ে উঠছে না নতুন কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান।
১৯৮৭ সালে ১৫ একর জমির উপর ঠাকুরগাঁওয়ে বিসিক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠা করা হয়। পৌর শহরের অদূরে গোবিন্দনগর এলাকায় ৫৩টি শিল্প ইউনিটের বিপরীতে ১০৫টি প্লট বরাদ্দের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে বিসিক। বরাদ্দকৃত প্লটগুলোর মধ্যে ৬টি এখনো ফাঁকা রয়েছে। আর বেশিরভাগ প্লটে গড়ে তোলা হয়েছে চিড়া, মুড়ি, বেকারি ও প্লাস্টিকের কারখানা।
নগরীতে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোও এখন অলস সময় পার করছে। রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সুযোগ-সুবিধার অভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রসার ঘটছে না। গড়ে উঠছে না বড় কোনো শিল্প কারখানা। বছরের পর বছর এমন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েও উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন প্লট নেওয়া ব্যবসায়ীরা। তবে এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিস্টরা।
উদ্যোক্তারা বলেন, ‘বড় বড় গাড়ি কাঁচামাল নিয়ে শিল্প নগরীতে প্রবেশ করতে পারছে না। খানাখন্দে আর জলাবদ্ধতায় ভরা বিসিকের সবগুলো সড়ক। শুরু থেকেই এমন অবস্থা হওয়ায় কারখানা স্থাপনে আগ্রহ হারাচ্ছে নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তারা। আর উৎপাদনে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা রয়েছেন লোকসানে। এভাবে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে কর্তৃপক্ষ আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করুক।
বিসিকের ব্যবসায়ীরা জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিসিকের প্লট বরাদ্দ দিয়েছে। সেই কারণে অনেক প্লট বরাদ্দ নিয়ে ফাঁকা ফেলে রেখেছে। অথচ কারখানা গড়বে এমন উদ্যোক্তা থাকলেও প্লট পাচ্ছে না। তবুও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিসিক কর্তৃপক্ষ। ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও রাস্তাসহ অভাব রয়েছে নানান সুযোগ সুবিধার।
রাস্তা ও ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক নুরে হক সাংবাদিকদের জানান, উদ্যোক্তাদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে চেস্টা চলছে। যেসব প্লট ফাঁকা রয়েছে তাদেরকে কার্যক্রম চালুর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কার্যক্রম চালু না হলে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সাল থেকে জেলার বিসিক শিল্পনগরীতে গড়ে উঠে আটা-ময়দা সুজি, সাবান ও প্লাস্টিক, চিড়া মুড়িরসহ ছোট ছোট কারখানা। এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী শুধু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে আসছে।
Array